11 টি Update Seo কৌশল জেনে নিন কাজে লাগবে

11 টি Update Seo কৌশল জেনে নিন আশা করি কাজে লাগবে



সার্চ ইঞ্জিন প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী লিঙ্ক সার্চ করে ব্যবহার কারীর ক্লিকের ৭০% আসে SEO থেকে! আবার, inbound leads (SEO) এর খরচ outbound leads (বিজ্ঞাপন) থেকে ৬১% কম। তাই তাদেরকে SEO এর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে অবশ্যই Update হতে হবে।


11 ‍seo Strategy, 11 ‍seo trick, 11 ‍seo stratagem, 11 ‍seo technique

 এখানে ১১ টি SEO কৌশল দেয়া হলো -

১। অবিশ্বাস্য কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে যা লিঙ্ক অর্জন করবেঃ সার্চ ইঞ্জিন এলগরিদমের সাথে সব কিছু পরিবর্তনের পরও সার্চ ইঞ্জিনের সাথে সব চেয়ে বড় প্রভাব রয়েছে ইনবাউন্ড SEO লিঙ্কে। অপরদিকে লিঙ্ক অর্জনের অন্য পদ্ধতিগুলো পরিবর্তিত হয়েছে। কোন উঁচু মানের প্রাসঙ্গিক ওয়েব সাইট থেকে লিঙ্ক পাওয়া শুধু আপনার SEO এর সাহায্যে সম্ভব হবেনা। এর সাথে দরকার হবে রেফারেল ট্রাফিক, যা আরো বেশি বিক্রি ও ব্র্যান্ড এর পরিচিতি বাড়াবে।

২। Co-Citation লিঙ্কঃ প্রতিবার সার্চ ইঞ্জিন আপনার ওয়েবসাইট কে আপনার প্রতদ্ধন্ধির পরেই পায়। এটা তাদের বলে যে আপয়ান্র কোম্পানি একই কুলঙ্গি বা বিষয়ের উপর। Co-Citation লিঙ্ক পেতে হলে “best” অথবা “top 10” দিয়ে আপনার সাইটের বিষয়ের উপর সার্চ করুন।

যেমনঃ টপ টেন ডট ডট আপনি যদি এই সার্চ করেন আর রিজাল্টে আপনার ব্যবসা না পান তাহলে পাবলিশারের সাথে যোগাযোগ করুন, এবং লিস্টে আপনার কোম্পানি কে যোগ করার জন্য বলুন, কেন এবং কোথায় আপনার কোম্পানি এখানে যোগ হবে তার জন্য তৈরি হোন। কোন লিঙ্কের সাথে যেতে হলে তাদেরকে সারমর্ম দিন।

৩। এডিটোরিয়াল লিঙ্কঃ এডিটোরিয়াল লিঙ্ক গুলো আপনার SEO এর জন্য অনেক শক্তিশালি হয়ে আসে কারণ এগুলো অন্য পাবলিকেশন থেকে আপনার কোম্পানি উল্লেখ করে আপনার সাইটের বিষয়ের ভিত্তিতে আসে। তারা আবার লীডারশিপ গেস্ট পোস্ট থেকেও আসতে পারে, যা আপনি লিখে কোন তৃতীয় পক্ষের সাইটে পাবলিশ করেন।

এডিটোরিয়াল লিঙ্ক পাওয়ার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো এমন সব উন্নতমানের কন্টেন্ট তৈরি করা যা অন্যরা তাদের পাঠকের সাথে শেয়ার করবে। অন্য উপায় হলো উচুমানের আকারে গেস্ট পোস্ট করা আপনার সাইটের বিষয়ের উপর। অবিশ্বাস্য কন্টেন্ট তৈরি করতে প্রস্তুত হোন যা কঠিণভাবে পাবলিশের পূর্বে ভোট পরীক্ষিত হবে।
ইন্টারভিউ হলো এডিটোরিয়াল লিঙ্ক পাওয়ার আরেকটি পদ্ধতি।

৪। ব্রোকেন লিঙ্ক বিল্ডিং পদ্ধতিঃ এখানে আরেকটি হোয়াইট হ্যাট লিঙ্ক বিল্ডীং পদ্ধতি যা অনেক কার্যকরি হয়। এখানে আপনি আসলে পাবলিশারকে সাহায্য করছেন ব্রোকেন লিঙ্ক তৈরি করাতে, যা তাদের পাঠকের জন্য সাহায্যকারী হবে। এখানে তখনই কাজ হবে যখন আপনার কন্টেন্ট হারিয়ে যাওয়া কন্টেন্ট থেকেও অনেক শক্তিশালি হবে।
এই কাজের জন্য কোন সাইটের এমন ব্রোকেন লিঙ্ক খুজে বের করতে হবে যা আপনার সাইটের বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এরপর আপনি ব্রোকেন লিঙ্ক নিয়ে ওয়েবমাস্টারের সাথে যোগাযোগ করে সুপারিশ করবেন যে আপনার সাইট বিকল্প এই ব্রোকেন লিঙ্ক এর। আরো জানতে Moz blogsearch engine land, etc. থেকে broken link-building Bible পড়ুন।

৫। Link Reclamation: এটি আপনাকে ব্রোকেন লিঙ্ক খুজে বের করে ফ্রেশ লিঙ্ক পেতে সাহায্য করবে এবং পাবলিশারকে দিয়ে এগুলো সমাধান করাবে।

যেমনঃ আপনার সাইট সম্পর্কে উল্লেখ করা ব্র্যান্ড খুজে বের করুন, এবং পাবলিশারকে লিঙ্ক যোগ করতে বলুন।
এমন জায়গা খুজে বের করুন যেখানে আপনার কন্টেন্ট এট্রিবিউশন ছাড়া ব্যবহার করা হয়েছে, এবং সেই ব্যাক্তির নিকট লিঙ্ক রিকুয়েস্ট করুন।
একে স্বয়ংক্রিয় করতে আপনি Google Alert চালু করতে পারেন, যখনই আপনার কোম্পানি নাম উল্লেখ করবে তা ইমেইল করে জানানোর জন্য। এর পর আপনি চেক করে দেখতে পারেন তারা আপনার সাইটের সাথে লিঙ্ক দিয়েছে কি না।

৬। Link Outreach: এটি অনেকটা “old school” এর মত কিন্তু এখনো অনেক শক্তিশালি। এটি করতে এমন ওয়েবসাইট বের করুন যা আপনার ওয়েবসাইটের সাথে প্রাসঙ্গিক, এবং তাদের সাইট থেকে তাদের যোগাযোগ এর তথ্য সংগ্রহ করুন। তাদেরকে কল করুন বা ইমেইল করে ভদ্রভাবে লিঙ্ক এর জন্য বলুন। এটা ভালো কাজ করে যদি তাদের ব্যবসা আপনার ব্যবসা থেকে কিছুটা আলাদা হয় কিন্তু একই পাঠক শেয়ার করা যায়।

৭। প্রতিদ্বন্ধি বিশ্লেষণ করাঃ এটা নতুন কিছু নয়। কোম্পানিরা তাদের প্রতিদ্বন্ধির ওয়েবসাইট অনেক বছর থেকে গবেষণা করে আসছে। অধিকন্তু প্রতিদ্বন্ধির সাইটের ব্যাকলিঙ্ক এবং ম্যানুয়ালি রিভিউ করা যেসব লিঙ্ক রাখা অনেক মূল্যবান। এরপর আপনি লিঙ্ক আউটরিচ করতে পারেন একই সাইট থেকে লিঙ্ক পাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।

৮। কী-ওয়ার্ড রেঙ্কিং এর পরিবর্তে ROI এ মনযোগ দেয়া যদিও আমরা সবাই সার্চ রিজাল্ট রেঙ্কিং এ কী-ওয়ার্ড এর ফল উপভোগ করি এর দ্বারা এটা প্রমাণ হয়না যে আপনার SEO সফল হয়ে গেছে। অনেক কী-ওয়ার্ডের জন্য এটা সম্ভব কোন ROI না থাকা সত্ত্বেও নাম্বার এক এ যাওয়া। আপনাকে সেই মেট্রিক্স এ মনযোগ দিতে হবে যা কনভার্সেষন আনে।

৯। একটি SEO কৌশল তৈরি করুন যা শ্রোতাকে ম্যাপ করবেঃ গত কয়েক বছর ধরে আমরা গুগল এনালিটিক ও অন্যান্য টুল থেকে অধিকাংশ কীওয়ার্ড হারিয়ে ফেলেছি। এর জন্য জরুরী হয়ে পড়েছে SEO এর পুরণো সিস্টেম থেকে বেরিয়ে এসে শ্রোতাকে আকর্ষিত করার নতুন পদ্ধতি বের করা।
এর জন্য আমাদের অবশ্যই নতুন কী-ওয়ার্ডে মনযোগী হতে হবে। নতুন পদ্ধতিতে মার্কেটারদের প্রতিবেশি করা, এবং বের করা কোথায় SEO দিয়ে আমাদের মার্কেটিং সফল হচ্ছে এবং কীভাবে একে আরো ভালো করে তোলা যায়।
বাজে কন্টেন্টে কী-ওয়ার্ডের গাদাগাদি করে একে রেঙ্কে রাখার দিন অনেক আগেই ফুরিয়েছে। এখন আপনার কন্টেন্ট এর জন্য জরুরী এর টার্গেট করা ব্যাক্তিরা, কীওয়ার্ড হতে হবে কন্টেন্টের সাথে প্রাসঙ্গিক। এজন্যই বলা হয় কন্টেন্ট ও SEO একে অন্যের সাথে বাঁধা।

১০। Google, Yahoo, Bing ও অন্যান্যের জন্য অপটিমাইজ করা Yahoo, Bing, এবং DuckDuckGo এর মত সার্চ ইঞ্জিনরা কম কম করে গুগলের অনেক বড় টুকরো হিসেবে নিয়ে নিতে পারে। Yahoo হলো Firefox -এর ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন, Safari গুগলের সাথে ডিল করে যা মনে করা হচ্ছে ২০১৬ তে শেষ হয়ে যাবে।এবং Yahoo ও Bing চাচ্ছে এখানে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হওয়ার জন্য।

যেহেতু অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন গুগলের পরিবর্তে ডিফল্ট হয়ে যাচ্ছে তাই সেইসব সার্চ ইঞ্জিনের জন্যও অপটিমাইজ করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

১১। মোবাই ফ্রেন্ডলি SEO: মোবাইল SEO মোবাইল প্রতি বছর আরো বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, ২০১৬ বা এর পরে অবশ্যই প্রতিটি ওয়েবসাইটের মোবাইলের জন্য আলাদা কৌশল থাকতে হবে। বর্তমানে মোবাইলের প্রতি গুরত্ব দেয়া হচ্ছে।
এখন সকল প্রকার বিষয় মোবাইল দিয়ে সার্চ হয় বেশি। তাই SEO এর সকল কাজ মোবাইল  ফ্রেন্ডলি হওয়া উচিত।

এই 11 টি ‍SEO কৌশল আপনাকে সফল হতে সহযোগিতা করবে। যদি আপনি সঠিক ভাবে তা পালন করেন।


”ধন্যবাদ”
Share:

0 comments:

Post a Comment

Note: Only a member of this blog may post a comment.